নিজস্ব সংবাদদাতা: উন্নাওয়ের ধর্ষিতাকে প্রাণে মারার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তাঁর মা। পাশাপাশি এই মামলার তদন্ত সিবিআই-কে দিয়ে করানোরও দাবি তুললেন তিনি। উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিতে রাজি উত্তর প্রদেশের পুলিস। সোমবার এমনটা জানালেন সে রাজ্যের ডিজিপি ওপি সিং। লখনউয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ওপি সিং জানান, রবিবারের দুর্ঘটনার পর এই তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত প্রশাসন।রবিবার বিকেলে জেলবন্দি কাকাকে দেখতে রায়বরেলির জেলে যাচ্ছিলেন উন্নাওয়ের ধর্ষিতা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কাকিমা, এক আত্মীয় ও আইনজীবী। একটি ট্রাক মুখোমুখি তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। অভিযোগকারিণীর দুই আত্মীয়া মারা গিয়েছেন। অভিযোগকারিণী আছেন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে। তাঁর অবস্থা গুরুতর। অভিযোগ উঠেছে জেলবন্দি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারের বিরুদ্ধে। সোমবার কুলদীপ, তাঁর ভাই মনোজ সিং সেনগার ও আরও আটজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে।
So a woman is allegedly raped by a BJP MLA. Her father is beaten up and dies in custody. A key witness dies mysteriously last year. Now her aunt who was also a witness is killed and her lawyer is critically injured in an accident caused by a truck with blackened number plates.
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) July 29, 2019
কুলদীপদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিযোগকারিণীর কাকা। তিনি জালিয়াতির মামলায় রায় বরেলিতে জেলে বন্দি। তাঁর সঙ্গে দেখা করেই অভিযোগকারিণী ও তাঁর পরিবারের অনেকে ফিরছিলেন। তাঁর কাকার অভিযোগ, বিধায়ক তাঁদের পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক ট্রাকটির নাম্বার প্লেটের ওপরে কালো রং লেপে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ নম্বরটি জানতে পেরেছে।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, “ওই বিধায়কই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। উনি জেলের মধ্যে থাকলেও ওনার কাছে ফোন রয়েছে। ফলে খুব সহজেই জেল থেকে বসে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন উনি। সেঙ্গার জেলে থাকলেও ওনার সঙ্গী ও অনুগামীরা বাইরে রয়েছে। এর ফলে উনি এবং ওঁর লোকেরা আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই।” মেয়েটি অভিযোগ করে, ২০১৭ সালে সে এক আত্মীয়ের সঙ্গে সেনগারের বাড়িতে চাকরি চাইতে গিয়েছিল। সেনগার তাকে ধর্ষণ করেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে, আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। অভিযোগকারিণীর পরিবারের দাবি, তাকে বিমানে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।বিষয়টি জানতে পারার পর এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় থেকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সবাই। যোগী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে একাধিক টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তার মধ্যে একটিতে লেখা আছে, এটাই কী সুশাসনের নমুনা?