নিজস্ব প্রতিনিধি : ”আজ রবিবার! চিড়িয়াখানা দুপুর ২.৩০টের সময় খুলবে। আপনারা তাই সভা মঞ্জের দিকে চলে যান।” রবিবারের ধর্মতলায় সভাস্থলে লোক ধরে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন উদ্যেগ। প্রতিবছর ব্রিগেড কিংবা একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে দেখা যায় যে, সমাবেশে আগত লোকজন সভাস্থল ছেড়ে ঘুরছেন ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা কিংবা বাবুঘাটে। সেই রোগ সারাতে এবার এরকমই রাস্তা বের করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল শিবির থেকে সরাসরি ঘোষণা করা হচ্ছে, আজ চিড়িয়াখানা খুলবে ২টো ৩০ মিনিটে।
তৃণমূলের শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় শনিবার সকালেই পা রেখেছেন ওঁরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় শিবিরে স্নান, খাওয়া সেরে সোজা আলিপুর চিড়িয়াখানা দর্শন। চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার সামনে বন্ধুদের সঙ্গে নিজস্বী তোলার ফাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর কলেজের ছাত্র দেবা হেমব্রম বললেন, ‘‘এ বার আমার প্রথম কলকাতায় আসা। ২১ জুলাই উপলক্ষে এলেও আলিপুর চিড়িয়াখানা ঘোরা হয়ে গেল। এর পরে ভিক্টোরিয়া যাব। বলতে পারেন, রথ দেখা, কলা বেচা দুটোই হবে।’’
এ দিন দুপুরে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে খাওয়াদাওয়া সেরে বেশির ভাগ কর্মী-সমর্থক শহর ঘুরতে বেরোলেন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা মহম্মদ নওসাদ স্ত্রী, বোনকে নিয়ে শনিবার সকালে প্রথম কলকাতায় এসেছেন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে স্নান-খাওয়া সেরে কলকাতা চিড়িয়াখানার উদ্দেশে রওনা দিলেন। বললেন, ‘‘চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, জাদুঘরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় এক দিন আগে এসে শহরটা দেখে নিতে চাই। বোন, স্ত্রীকেও সঙ্গে এনেছি।’’