নিজস্ব প্রতিনিধি: কাটমানি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সমাবেশে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কোন কাটমানি চলবে না যদি কেউ নিয়ে থাকেন তাহলে তা ফেরত দিন। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় কাটমানি আদায়ের বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শাসকদলের অন্দরের ঘটনা এবার ঢুকে পড়ল বিজেপির ঘরেও। বিতর্কে জলপাইগুড়িগুড়িতে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কোর কমিটির সদস্য শিবশঙ্কর দত্তকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
বিজেপি সূত্রে খবর, গোলমালের সূত্রপাত সেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই। শিবশঙ্কর দত্ত তাঁর দলবল নিয়ে সে সময়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই ভোটে ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩টির মধ্যে ৬টি আসনে জেতে বিজেপি। সেই দলে শিবশঙ্করের স্ত্রীও ছিলেন। উল্টো দিকে ৭টি আসনে জিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। গত শনিবার সেই ৭-এর মধ্যে ৬ জন বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরেই শিবশঙ্করেরা বলতে শুরু করেন, তৃণমূলে যাঁরা কাটমানি খেতেন, তাঁদেরই বিজেপিতে নিয়ে আসা হচ্ছে।প্রশ্ন ওঠে, কোনও অনুমোদন ছাড়াই কী ভাবে তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানকে দলে নেওয়া হলো। এই নিয়ে জেলা বিজেপির মধ্যেকার তীব্র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। যার জেরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় নব্য বিজেপি নেতা শিবশঙ্কর দত্তকে, যিনি আবার নিজেকে ‘মুকুল রায়ের লোক’ বলে পরিচয় দেন। শুক্রবার দুপুরে, জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি দফতর দীর্ঘ সময় ধরে ঘেরাও করে রাখেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।