নিজস্ব প্রতিনিধি: আচমকা হলটা কি বীরভূমের। রাতারাতি কি এমন হল যে সিপিএমের লোকজনদের সাথে ডেকে ডেকে কথা বলতে চাইছে লালামাটির দাপুটে নেতারা। তার থেকেও বড় কথা হল বীরভূমে তৃণমূলের পতাকা যত উড়েছে ততই শূন্য হয়েছে বিরোধীরা। এমনকি পার্টি অফিসও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কারণ, ওই জেলার সভাপতি ডাকাবুকো অনুব্রত মন্ডল। কিন্তু তাঁর গড়েই আ্জ রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে গিয়েছে।বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে রাস্তায় রাস্তায় ‘উন্নয়ন’-কে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
তারপর থেকেই বীরভূমে একাই শাসন চালায় তৃণমূল।তৃণমূল বাংলায় ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বীরভূম জুড়ে সিপিএমের পার্টি অফিস দখলের হিড়িক পড়ে যায়! নেতৃত্বে সেই অনুব্রত মণ্ডল। সেই বীরভূমে মঙ্গলবারের উলটপুরাণ।এমন এমনিই সিপিএম-কে তাদের পার্টি অফিস ফিরিয়ে দিল তৃণমূল। রায়পুর সুপুর পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামে সিপিএমের ওই পার্টি অফিসটি দখলের ইতিহাস অবশ্য বেশি পুরনো নয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেটি তৃণমূল দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। পার্টি অফিসের লাল রঙ রাতারাতি ঢেকে যায়। ঘাসফুল আঁকা হয়ে যায় দেওয়াল জুড়ে। তারপর থেকে সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের আর বসতে দেওয়া হয়নি সেখানে।দু বছর পর সেই পার্টি অফিসই সোমবার তুলে দেওয়া হল সিপিএম কর্মী সমর্থকদের হাতে। অফিসের দেওয়ালে চুনকাম করে মুছে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ঘাসফুলের ছবি। তবে সিপিএমকে তাদের পার্টি অফিস ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে অন্য অঙ্ক দেখছেন বাম নেতারা। তাদের দাবি, লোকসবা ভোটের পর তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে তাদের পায়ের তলার মাটি ক্রমেই সরতে শুরু করেছে। তাদের বাঁচাতে পারবে একমাত্র বামেরাই।তাই নতুন করে বন্ধুত্ব করতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা। যদিও পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে নিচ্ছেন না জেলার তৃণমূল নেতারা। তাদের বক্তব্য,ওই পার্টি অফিসটি সরকারি জায়গায় দীর্ঘদিন ছিল। তাই বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমরা গতকাল সেটি ফেরত দিয়েছি। এ বার সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।