নিজস্ব সংবাদদাতা: দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কড়া দাওয়াই দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিনি কোনভাবেই অন্যায় বরদাস্ত করবেন না। সে দলের লোকই হোক না কেন। মোদী মন্ত্রিসভায় এবারে প্রথম থেকেই সেরা চমক ছিল নির্মলা সীতারমণের হাতে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব। লোকসভায় বাজেট পেশ করেছেন নির্মলা। তবে এবার খানিক বেসুরেই তিনি বোঝালেন সরকারের অসহায়তার নির্দেশন।
সরকারি কাজ চালাতে ১০০ টাকা ধার করলে তার ৯৩ টাকাই যাচ্ছে পুরনো ধারের সুদ মেটাতে! রোজকার খরচ চালানোর জন্য নগদেও টান পড়তে শুরু করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ধার করে সংসার চালাতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। তাই দৈনন্দিন খরচের জন্য বাজার থেকে ধার করার কথা ভাবতে হচ্ছে নির্মলা সীতারামনের অর্থ মন্ত্রককে।এবার খানিক সেইপথেই হাঁটতে হচ্ছে আরেক গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রককে।‘আমার ব্যর্থতা যে গত ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি। এখনও এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।’ লোকসভায় দাঁড়িয়ে ঠিক এভাবেই নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গাডকরি৷ পাশাপাশি এ কথাও জানিয়েছেন সরকারের হাতে টাকা নেই। তাই বেসরকারি উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ হবে। দেশ জুড়ে চালু হবে ‘লন্ডন পরিবহণ মডেল’। যা নিয়ে ফের বিরোধীদের সমালোচনার মুখে মোদী সরকার।সংসদে মোটর ভেহিকলস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯ পেশ করেছেন গাডকারি।
লোকসভায় মঙ্গলবার ছিল সড়ক পরিবহণ বিষয়ে ‘ডিমান্ডস ফর গ্রান্টস’-এর জবাবি ভাষণ। সুদীর্ঘ ভাষণে শাসক-বিরোধী সব পক্ষের মন জয় করার চেষ্টা চালান মন্ত্রী। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। তৃণমূল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মোটর ভেহিকলস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯-এর তীব্র বিরোধিতা করা হবে। কারণ রাজ্যগুলির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এবং তা রাজ্যের সম্মতি ছাড়াই। যেমন, নতুন আইনে বলা হয়েছে, নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করবেন গাড়ি কোম্পানির ডিলাররাই। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রেও রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। লাইসেন্স দেবে কেন্দ্র সরকার।