নিজস্ব প্রতিনিধি : হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিয়ের সময় কনের গলায় মঙ্গলসূত্র বেঁধে দেয় বর। মঙ্গলসূত্রকে বিয়ের পবিত্র প্রতীক হিসেবে মান্য করা হয়। কিন্তু নতুন প্রজন্ম এই নিয়ম মানতে নারাজ। কেন বিয়ের প্রতীক একজন মহিলা বহন করবেন? বা কেন পুরুষরা কোনো বিয়ের প্রতীক বহন করবে না? আর এবার এই প্রশ্ন তুলে যুগ যুগ ধরে চলে আসা নিয়ম ভাঙলেন কর্ণাটকের এক জোড়া নব দম্পতি।
সম্প্রতি প্রভুরাজ ও অমিতের সঙ্গে অঙ্কিতার ও প্রিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক বিবাহ রীতি নীতি মানতে নারাজ এই কর্ণাটকের এই জোড়া নব দম্পতি। শুধু কনের গলায় মঙ্গলসূত্র বাঁধার রীতি পছন্দ নয় তাঁদের। সে জন্যই অঙ্কিতা ও প্রিয়া মঙ্গলসূত্র বেঁধেছেন প্রভুরাজের ও অমিতের গলায়।
এই ঘটনার সাক্ষী ছিল কর্নাটকের বিজয়পুরা জেলার মুদ্দেলবিহাল তালুকের বাসিন্দারা। তবে শুধু মঙ্গলসূত্রই নয়, শুভ মহরৎ-এর মতো অনুষ্ঠানও মানা হয়নি এই অনুষ্ঠানে।
তবে প্রচলিত বিবাহরীতি না মানার ঘটনা এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগে কলকাতার এক বাবা মেয়ের বিয়েতে কন্যাদান করতে অস্বীকার করেন। শ্বশুড়বাড়ি যাওয়ার সময় এক মুঠো চাল ছড়িয়ে বাবা মায়ের ঋণ মেটানোর প্রথা ‘কনকাঞ্জলি’ মানতে অস্বীকার করেছিলেন এক যুবতী।