নিজস্ব প্রতিনিধি— পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ। তৃণমূল কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলতে বিজেপি, জিএনএলএফ এবং গুরুং গোষ্ঠী এক হতে চলছে। বিমল গুরুং এবং রোশন গিরিরা অজ্ঞাতবাসে রয়েছে। ফ্রন্টফুটে ছিল তৃণমূল। পাহাড়ে অমর সিং রাইকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমল। শুরু হয়েছে প্রচারও এমতাবস্থায় পাহাড়ের খেলা ঘোরাতে শত্রুর শত্রু আমার মিত্র এই সমীকরণকে সামনে রেখে বিমল গুরুং ও রোশন গিরিরা সক্রিয় হয়ে উঠল। আচমকায় ভোলবদলে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে।
এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে অজ্ঞাতবাস থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা রোশন গিরি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানালেন, পাহাড় ও তরাইয়ের স্বার্থে আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছে তাদের দল ও জিএনএলএফ। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে জিএনএলএফের ‘মধুর’ সম্পর্ক কারও অজানা নয়। লোকসভা ভোটের আগে সেই দুই দলের সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে জল্পনা। তবে কি জিএনএলএফ-কে সামনে পাহাড়ের ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন বিমল গুরুং? জিএনএলএফ সভাপতি সুবাসপুত্র মন ঘিসিংয়ের মতো কেউ বিজেপির প্রার্থী হতে পারে বলে জল্পনা।
উল্লেখ্য, এসআই অমিতাভ মালিকের খুন-সহ একাধিক অভিযোগে ফেরার বিমল গুরং ও রোশন গিরি। লোকসভা ভোটে পাহাড়ে ফিরতে মরিয়া গুরুং ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন। শীর্ষ আদালতের কাছে রক্ষাকবচ চেয়েছেন গুরুং-রোশনরা। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে লিখিত উত্তর চেয়েছে। এগিয়ে আসছে মনোনয়নপত্র পেশের সময়। গুরুং বিলক্ষণ জানেন, পাহাড়ে ঘুরে দাঁড়াতে লোকসভা ভোটই তাঁর কাছে শেষ সুযোগ। তাই একদিকে আদালত, আর এক দিকে বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি গুরুংপন্থীদের।
এদিকে, জিএনএলএফ নেতা নীরজ জিম্বা জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। তাহলে কি জিএনএলএফ-কে সামনে রেখেই পাহাড়ের আসন দখলে রাখতে কৌশলী চাল বিজেপির?