নিজস্ব প্রতিনিধি: নজরুল মঞ্চে রাখা রয়েছে তিনটি চেয়ার। কিন্তু নেতাদের মধ্যে কারা কারা এই চেয়ারে বসার ডাক পাবেন তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। মঞ্চের তিনটি চেয়ারের পিছনে একটি চেয়ার । তাতে দলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সি। কিন্তু তিনটি চেয়ার নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা যায় একটি চেয়ারে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক বৈঠক করতে। বাকি সবাই মঞ্চের নীচে। তাবড় তাবড় নেতাদের স্থান হয় নি এদিনের মঞ্চে। সেইসঙ্গে ব্যানারেও শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তাতে লেখা শুধু সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এক অন্যধরনের চমক এদিনের নজরুল মঞ্চ জুড়ে। প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর শুভেন্দু অধিকারী। একদম ঘড়ির কাঁটায় ঠিক দুটোয় নজরুল মঞ্চে প্রবেশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলে শুরু হল নতুন যুগের সূচনা। কর্পোরেট সংস্থার হাত ধরে আগামীর কথা ভেবে মা-মাটি-মানুষের দল কি পারবে ২০২১-এ রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতায় আসতে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই শুরু হল তৃণমূলে নতুন যুগের। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তাই নয় এবার থেকে তৃণমূলে হয়ে কাজ করবে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। এখন দেখার বিজেপির পালে হাওয়া কাড়তে কতটা সক্ষম হয় তৃণমূল। দিদিকে বলো কাটআউটে ভরে গিয়েছে নজরুল মঞ্চ।
এদিন দলীয় নেতাদের একটা করে ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যাগের মধ্যে রয়েছে ভিজিটিং কার্ড, দিদিকে বলো চারটে করে টি-শার্ট এবং কিছু পুস্তিকা। রীতিমত কপোর্রেট কায়দায় শুরু হল তৃণমূলের পথচলা।