নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতি করতে এসেছেন। রাজনৈতিক খিদে থাকতেই পারে। এরমধ্যে অন্যায় কিছু নেই। কিন্তু আপনার রাজনৈতিক খিদে যেন দলের পরাজয়ের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।চোখের জল ঘরের বিছানায় মুছে নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য মাঠে নেমে পড়তে হবে।শনিবার খড়গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসন সংলঘ্ন ময়দানে নির্বাচনী কর্মীসভায় এই মন্তব্যই করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের খড়গপুর সদর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা ওয়ার্ডগুলিতে ধরাশায়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী।অধিকাংশ ওয়ার্ডেই সাবোটাজেরদের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রমাপ্রসাদ তিওয়ারী।তিনবছর বাদে পুরোনো হিসাবেই খড়গপুর আসনে বিজেপির দখল কায়েম করার পথকে বন্ধ করাটাই তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে চ্যালেঞ্জ।সেইকথা মনে করিয়ে বক্সি বলেন,আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। খড়গপুর সদরে চারজনের যৌথ নেতৃত্ব তৃণমূলকে এগিয়ে রাখবে।মেদিনীপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুইয়া বলেন, তিনি জয়ী হলে খড়গপুরকে সাজিয়ে দেবেন। গত তিন বছরে দিলীপ ঘোষের কাজের খতিয়ানকে চ্যালেঞ্জ করে মানস বলেন,শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দিলীপ ঘোষ কি কাজ করেছেন তার তালিকা সেও ওয়ার্ডের টাঙানোর ব্যবস্থা করুন। ওই ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য কি জরুরী ছিল তারও তালিকা টাঙান।ওই ওয়ার্ডে পুরসভা গতবার বছরে কি কাজ করেছে তারও একটি তালিকা টাঙানোর পরামর্শ দেন।মানসবাবু বলেন, বিজেপি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিল। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ কতটা হয়েছে সেই প্রশ্ন দিলীপবাবুকে করুন। দেশে বিজেপির একজন মুখ্যমন্ত্রীর নাম বলতে বলুন যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত কাজ করেছেন।দিলীপবাবু তিন বছরের পারফরমেন্সই বলে দিচ্ছে সাংসদ হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করলে তিনি আদৌও কাজ করবেন কিনা সন্দেহ আছে।
দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে মানসবাবু বলেন, উনি শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি। উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য গরমগরম কথা বলছেন। কোন লাভ হবে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে উন্নয়নের কাজ করব।এদিন সিপিআই ছেড়ে আসা অসিত বসাক, দিলীপ ভাওয়াল, মহ: আরিফ রেহমান,প্রেমময় চক্রবর্তী,গুলাম হোসেন শাহ, সহদেব সিংয়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি।এদিনের কর্মীসভায় ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র,নির্মল ঘোষ, রবিশঙ্কর পান্ডে,প্রদ্যুৎ ঘোষ,দীনেন রায়, খড়গপুর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা দেবাশিষ চৌধুরী প্রমুখ।