নিজস্ব প্রতিনিধি : বিহারের পর পূর্ব ভারতে বড়সড় অগ্নিপরীক্ষায় প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোাপধ্যায়ের দলকে ২০২১-এ ক্ষমতায় আনতে শুরু হল প্রশান্ত কিশোরের কৌশল। পিকির স্ট্রাজেজির ওপর নির্ভর করে আগামী দিনে পথ চলবে তৃণমূল।এদিকে হারানো জমি ফিরে পেতে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কর্মসূচিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে পথে নামছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এবার থেকে কোনও সমস্যা বা মতামত থাকলে সরাসরি ফোন করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকেই। যে কর্মসূচির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, ‘দিদিকে বলো!’ অভিযোগ বা সমস্যা থাকলে সরাসরি ফোন করতে পারবেন ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি বুথে ৪ জন সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল। রাজ্যের ৭০,০০০ বুথে প্রায় ৩ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে শাসকদল।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নজরুল মঞ্চে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর এই উদ্যোগের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সূত্রের খবর, এর নেপথ্যেও রয়েছেন পেশাদার ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। আজ সেখানে হাজির থাকবে ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে শীর্ষস্তরের নেতাদের।
তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, দলকে জন সংযোগের পথে ফেরাতে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই কর্মসূচি। তাঁদের মতে, তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাটমানি নেওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম ইত্যাদি যাই অভিযোগ থাকুক, ব্র্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অমলিন। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের প্রতিটি বুথের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন তৃণমূল কর্মীরা। সাধারণ মানুষ সম্পর্কে জানতে চাইবেন তৃণমূল সম্পর্কে তাঁদের ধারণা কী? সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না। কোনও অভাব অভিযোগ রয়েছে কি না দলের বিরুদ্ধে।
ঠিক যে কারণে ২০১৬ সালের লোকসভা ভোটে দিদি সব জনসভায় বলতে শুরু করেছিলেন, ২৯৪টি আসনে আমিই প্রার্থী- এ ব্যাপারটাও সে রকম। কোনও সমস্যা, বিপদ আপদে ভয় নেই, দিদি রয়েছেন।
ইতিমধ্যে নজরুল মঞ্চে বৈঠকের যাবতীয় প্রস্তুতি সারা। পৌঁছেছেন তৃণমূল নেতারাও। অপেক্ষা শুধু তৃণমূলনেত্রীর। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত দলকে চাঙ্গা করতে কী মন্ত্র দেন তিনি।
সোমবার সকালে দেখা যায়, ডেনিম জিন্স ও কালো টি শার্ট পরে কোনও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ছেলেমেয়েরা যাবতীয় প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করছেন। তাঁরা প্রশান্ত কিশোরের প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা ভাড়া করা কোনও পেশাদার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী হতে পারে বলে খবর।
কলকাতায় এ ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে এক মাস আগে শুরু করেছে তৃণমূল। নাগরিকদের কোনও সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে সরাসরি মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করতে পারেন।আর এবার কলকাতার বাইরে অন্য জেলার সমস্যা নিয়ে দিদির সাথে কথা বলতে পারবে।