নিজস্ব প্রতিনিধি— দীর্ঘ দিন ধরে তিনি অসুস্থ। দলের কাজে আর সেভাবে দেখা যায় না তাঁকে। কিন্তু সক্রিয়ভাবে না দেখা গেলেও তাঁর পরামর্শ সবসময়ই সমৃদ্ধ করে দলকে। হ্যাঁ, এতক্ষণ যাঁর কথা বলছিলান তিনি আর কেউ নন, তিনিই হলেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বাসীর কাছে তিনি অপছন্দের মানুষ হয়ে উঠলেও, বিগত এই ২ বছরে সেইসব মানুষের কাছেই তিনি হয়ে উঠেছেন আবেগ। এরপর ওনাকে শেষ দেখা গিয়েছিল এবারের ব্রিগেডের সমাবেশে। অর্থাৎ দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থাকে জয় করেই অশক্ত শরীরে ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ব্রিগেড ময়দানে ছিলেন বুদ্ধদেব বাবু। যদিও, আগাগোড়াই গাড়িতে বসেছিলেন বুদ্ধবাবু। তবে এবার হয়ত তাঁর কর্মী সমর্থকদের জন্য সুখবর দিতে চলেছেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, ফের তাঁকে দেখা যেতে পারে রাজনীতির ময়দানে, কারণ এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে অবশেষে। এদিকে বুদ্ধবাবুর ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত তিনি সারা দিচ্ছেন তাঁদের চিকিৎসায়। অর্থাৎ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি, এমনকি ডাক্তাররা এও বলছেন উনি খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবেন! জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। যদিও এখনও অক্সিজেন সাপোর্ট আছে, কিন্তু তিনি তরল খাবার ছেড়ে ঘরের রান্নাকরা শক্ত খাবারও খেতে পারছেন। ঘরের মধ্যে অপরের সাহায্য ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে পারছেন বলে জানা গিয়েছে।তিনি বর্তমান পরিস্থিতির উপর একখানি বই লেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বয়সের ভারে ধীরে ধীরে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছিলেন। চোখে আলো সহ্য করতে পারছিলেন না। থাকতে হচ্ছিল আলোহীন ঘরে। সাথেই চোখে পরতে হচ্ছে আলো নিরোধক চশমা। কাউকে চিনতে পারছেন না। বাড়িতে বসেই চোখের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু বর্তমানে তিনি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা যাচ্ছে ২০২১ আগে ফের রাজনীতির ময়দানে দেখা যেতে পারে তাঁকে। তবে তিনি কি রাজনীতিতে ফিরবেন নাকি শেষ জীবনটা ঘরেই কাটাবেন সেটা নির্ভর করছে তাঁর ওপর।