নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গের অলিতে-গলিতে এখন ঘুরছে ‘দিদিকে বলো’। তৃণমূল নেতাদের সাথে যে সাধারণ মানুষের দুরত্ব বেড়েই চলেছে তা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ফের জনসংযোগ বাড়াতে দলের নেতা-মন্ত্রীদের পথে নামার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তবে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল যে নিজের ঘর গোছানোর কাজ এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একের পর এক পদক্ষেপ স্পষ্ট করছে মানুষের ঘরে পৌছাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। তবে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর পর এবার কেন দিদি আপনাদের গর্ব? টুইটারে #আমারগর্বমমতা প্রচার করতে শুরু করেছে তৃণমূল। আমার গর্ব মমতা নামে খোলা হয়েছে আলাদা অ্যাকাউন্ট। এর পিছনেও রয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কই।
দিদি আমাদের জন্য লড়েছেন, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমাদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের গর্ব আমাদের দিদি। #আমারগর্বমমতা
কমেন্ট করে জানান কেন দিদি আপনাদের গর্ব | #AamarGorboMamata pic.twitter.com/vfR2QVsvGS— Aamar Gorbo Mamata (@AmarGorboMamata) August 2, 2019
তৃণমূল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমার্থক। তাঁর এক ডাকেই বাংলার সব প্রান্ত ছুটে আসেন কর্মী-সমর্থকরা। শুধু আজ নয়, নয়ের দশকে যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একার দমে ভরাতে পারতেন ব্রিগেড। তাঁকে দেখে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। মমতার সেই ব্র্যান্ডকে ঘষামাজা করে ২০২১ সালের রণনীতি তৈরি করছেন প্রশান্ত কিশোর। তার ইঙ্গিত মিলেছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ঘোষণাতেই। এবার এল ‘আমার গর্ব মমতা’।এর আগে ২০১৪ সালেও দলকে ছাপিয়ে নেতাকে মুখ করে তুলেছিলেন প্রশান্ত। সেবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ছিলেন বিজেপির মুখ, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বিজেপির স্লোগান ছিল, ‘আবকি বার মোদী সরকার’। সেই ছকই এবার বাংলায় নামিয়ে ফেলেছেন প্রশান্ত কিশোর।
তৃণমূলের তরফে টুইটে বলা হয়েছে, ‘দিদি আমাদের জন্য লড়েছেন, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমাদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের গর্ব আমাদের দিদি। #আমারগর্বমমতা’। কমেন্ট করে জানান কেন আপনি দিদিকে নিয়ে গর্বিত।