নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভায় তৃণমূলের বিপর্যয়ের পরেই দলের রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি দলকে ঠিক করতে তিনি ইতিমধ্যেই দলীয় নেতাদের একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়ে রেখেছেন। তবে এতকিছুর মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন একদা মোদীর ভোট পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। বর্তমান রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে এবার শোনা যাচ্ছে শুধু তৃণমূলই নয় এবার শিবসেনার দলেও নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করতে চলেছেন পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট বা ভোট-কুশলী প্রশান্ত । উদ্ভব ঠাকরের ছেলে তথা শিবসেনার যুব শাখা আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে কাজ করবেন প্রশান্ত। তাঁর রাজনৈতিক কৌশল স্থির করে দেওয়ার পাশাপাশি আদিত্যের জন আশীর্বাদ যাত্রাও প্রশান্তের পরিকল্পনা বলে খবর শিবসেনা সূত্রে। এই যাত্রায় রাজ্যের ৪ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করবেন আদিত্য ঠাকরে।
Ironically, these days I get to know where ALL I am working only through newspapers!!🙄
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) July 22, 2019
গত ফ্রেব্রুয়ারিতে উদ্ভব ও আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সাক্ষাৎ-এর বিষয় জানিয়ে টুইটও করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যার জবাব দিয়েছিলেন আদিত্যও। প্রশান্তের সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ এর আগে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ও BJP-র হয়ে, ২০১৭ সালে রাহুল গান্ধীর পক্ষে এবং সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডির হয়ে রাজনৈতিক রণনীতি স্থির করেছ।তৃণমূলের অন্দরে যখন নেতারাই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে কানাঘুষো আলোচনা করছেন সেই সময় শিবসেনার পাশেও তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে।এ হেন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে খোঁচা দিয়ে টুইট করলেন প্রশান্ত। তাতে তিনি লিখেছেন, “মজার ঘটনা হল, ইদানীং সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছি, আমি এখন কোথায় কাজ করছি!” অনেকের মতে, এ কথার অর্থ হতে পারে একটাই। তাঁকে নিয়ে যে আলোচনা সংবাদমাধ্যমে চলছে, তা লঘু করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রশান্ত কিশোর। বোঝাতে চাইলেন, সংবাদমাধ্যমে যা বেরোচ্ছে তা সঠিক নয়। লোকসভা ভোট মিটতেই তাঁকে ঘনঘন দেখা যাচ্ছে কলকাতায়। প্রশান্তকে অবশ্য ধরা ছোঁয়ার মধ্যে পাননি সাংবাদিকরা। তৃণমূল ভবনে বা নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই গাড়িতে যান। তার পরে লিফট থেকে নেমে প্রায় দৌড়ে উঠে পড়েন অভিষেকের গাড়িতে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার জন্য তাঁকে ডাকলেও, ফিরেও তাকান না তিনি। তবে প্রশান্তের বুদ্ধিতেই তৃণমূল-শিবসেনা দুদলই চাইছে তাদের নিজের শক্তি পরীক্ষা করতে।