নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘অসহিষ্ণুতা’ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেওয়ার জন্য খুনের হুমকি পেলেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। সম্প্রতি দেশের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং গণপিটুনি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এ বার সেই কারণে খুনের হুমকি দেওয়া হলো বলিউডের নামকরা পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক ব্যক্তি নিজের টুইটারে লিখেছেন, তিনি সম্প্রতি নিজের রাইফেল ও শটগান পরিষ্কার করেছেন। অনুরাগের সঙ্গে সামনা-সামনি দেখা করতে চান তিনি। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। জনৈক ট্যুইটার ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন অনুরাগ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
একই কারণে দিন কয়েক আগে খুনের হুমকি পেয়েছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনও। তাঁর অভিযোগ, একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয় ফের সরব হলে খুন হতে তাঁকে। পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
What a joke!! It’s my state . I was born in UP , I grew up in UP. Film subsidies were not started by Yogi ji. He is not the owner of the state , he is the Chief Minister. I might disagree with Modiji but I still am 100 % indian and I make films in India & will continue to do so. https://t.co/Yi6b0tjFs5
— Anurag Kashyap (@anuragkashyap72) July 26, 2019
গত ২৩ জুলাই ‘জয় শ্রীরাম’ এখন যুদ্ধের স্লোগান। মুসলিম-দলিত ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের গণপিটুনি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। গোটা দেশের অভ্যন্তরে ক্রমাগত ঘটে চলা গণপ্রহারে মৃত্যু, আক্রমণের স্লোগান হিসেবে ‘জয় শ্রীরাম’–এর ব্যবহার সহ একাধিক ‘দুঃখজনক ঘটনা’তে উদ্বিগ্ন দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি খোলা চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে। এ ধরনের ঘটনায় জামিন ব্যতিরেকে যাবজ্জীবন সাজার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এক ঝাঁক বিদ্বজ্জনের লেখা চিঠিতে এমনই সব মন্তব্যে তোলপাড় গোটা দেশ। আদুর গোপালকৃষ্ণন, মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, অপর্না সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো ৪৯ জন সেলিব্রিটি তথা বিশিষ্ট জনের সই করা এই চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে বুদ্ধিজীবীদের চিঠির পাল্টা চিঠি দিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভান্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রী সহ ৬১ জন ব্যক্তিত্ব। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, “অসহিষ্ণুতা নিয়ে যাঁরা চিঠিতে সই করেছেন, তাঁরা দেশের উপজাতি, পিছিয়ে পড়া মানুষের উপর হামলা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া, মাওবাদী হামলার মত ঘটনার সময় কেন চুপ ছিলেন?”