নিজস্ব প্রতিনিধি— ঝাড়গ্রাম জেলায় কুনার হেমব্রম, তমলুকে সিদ্ধার্থ নস্কর। এই দুজনের নাম প্রার্থী তালিকায় দেখার পর শুধু বিজেপি নেতারাই নয়, চমকে উঠেছিলেন অন্যেরাও। কুনার হেমব্রমকে তবুও অনেকে চেনেন। কিন্তু সিদ্ধার্থ নস্করকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কেউ জানেন না। বিজেপি প্রার্থীর নাম তালিকায় আছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি কি করেন, এই নিয়ে জেলা জুড়ে খোঁজ খোঁজ রব। পরে জানা গেল কুনার হেমব্রম ঝাড়গ্রামের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গগনাশুলির বাসিন্দা। আর সিদ্ধার্থ নস্কর তিনি নদিয়া নবদ্বীপের বাসিন্দা। প্রার্থীর খোঁজ মেলার পর বিজেপি, তৃণমূল এবং বামেরা নিজেদের মধ্যে রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত।
জঙ্গলমহলের বাসিন্দা তৃণমূল ‘ঘনিষ্ঠ’ কুনার হেমব্রমকে ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে প্রার্থী করে চমক দিল বিজেপি৷ ৫৭ বছরের কুনার পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার৷ নাম ঘোষনার পরই বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ফুলের তোড়া কুনারকে দিয়ে সংবর্ধনা জানান দলের জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী৷
আদতে জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গগনাশুলি গ্রামে কুনারের বাড়ি৷ বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের কন্যাডুবা এলাকায় থাকেন৷ স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে পরিবার৷ ১৯৮৯ সালে খড়গপুর আইআইটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক পাশ করেন৷ ওই বছরেই ভারত সরকারের অধীনস্থ ‘এনবিসিসি’ সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেন৷ ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থায় চাকরি করে গ্রামে ফিরে আসেন কুনার। ১৯৯৫ সালে নিজের ‘কনসালট্যান্সি ফার্ম’ খুলে কাজ শুরু করেন বাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ডে৷ আদিবাসী সংগঠন ‘আসেকা’ সঙ্গে যুক্ত কুনার অলচিকি হরফের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত কাজ করে চলেছেন৷ তিনি কম্পিউটারে সাঁওতালি ফন্ট, সাঁওতালি কি-বোর্ডের কাজও করছেন৷ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস জামশেদপুরে তাঁর তৈরি মোবাইলে সাঁওতালি সফটঅয়্যারের উদ্বোধন করেছেন৷ কুনার শুক্রবার বলেন,‘পেশাগত ভাবে যে সব কাজ আমি করতে পারতাম সেগুলিই করেছি৷ সাঁওতালি অ্যাকাডেমিতে বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে কাজ করেছি৷’