নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৩ টি আসন জয়ের সীমারেখা টেনে দিয়েছিলে কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব। তাই বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। প্রার্থী ঘোষনার পর থেকেই দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে কোলাহল।তাই বাংলায় বেজিপির কোলাহল দূর করতে এবার প্রচারে নামল ত্রিপুরার
উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মা।ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।তাঁর অতীত কর্মকান্ডের জন্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মেনেই নিতে পারছেন না গেরুয়া দলেরই একাংশ।আর এই অস্থিরতা দূরে এবং ভারতীর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ প্রমাণে ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রীকে প্রচারে নিয়ে এল বিজেপি।মঙ্গলবার ঘাটালে ভারতীর হয়ে প্রচারে আসেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মা।সভায় যোগদান করার আগে পাঁশকুড়ার একটি অতিথিশালায় জিষ্ণুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপি-র যুব মোর্চার তরফে।আর সেখানেই ভারতীকে দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়ার পাশাপাশি ঝিমিয়ে পড়া দলীয় কর্মীদের মনোবল ফেরাতে জিষ্ণুদেব তীব্র আক্রমণ করেন বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে।ভারতীকে নিয়ে তৈরি দলীয় অসন্তোষ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন,”ভারতীয় জনতা পার্টি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। শুরুতে এমন অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।আইন তৃণমূল তৈরি করবে না পশ্চিমবঙ্গে।” দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি-র তরফে নালিশ জানান হয়েছিল, রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথই স্পর্শকাতর।এদিন ওই প্রসঙ্গে আরও মাত্রা যোগ করে ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর নয় অতিস্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ছিল।পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোটদানে বঞ্চিত।অতীতের বামফ্রন্ট জামানা থেকে বর্তমান তৃণমূল জামানায় সেই ধারা অব্যাহত।