নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসায় জঙ্গি চাষ হয়। বাংলার একাংশ মাদ্রাসায় জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে দু’দিন আগে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনে সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক সতর্কবার্তা জারি করে। সেই রিপোর্টে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক জঙ্গিশিবির চালাচ্ছে জেএমবি। সেই শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত করে লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গিরা। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা ও বর্ধমানের মাদ্রাসাগুলিকে যুবক-যুবতীদের মগজধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন।
মাদ্রাসাগুলি থেকে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করে সংগঠনের শক্তি বাড়াচ্ছে জেএমবি।এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই হুলুস্থুলু পড়ে যায় বিধানসভায়। বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। মাদ্রাসাগুলিকে ‘সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর’ বলে উল্লেখ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর তারপরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এহেন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আজ বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজবিরোধীরা সমাজবিরোধী হয়। এর সঙ্গে কোনও ধর্মকে জড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়।’ ধর্মের ভিত্তিতে অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে।তাঁর সাফ বক্তব্য, মাদ্রাসা মানেই জঙ্গি শিবির তা বলা যায় না।এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লোকসভায় প্রশ্ন ওঠার পর ২৮ জুন রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্ন আসে। রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মাদ্রাসায় এরকম হয় কিনা? আমরা উত্তর দিয়েছিলাম, প্রশ্ন-ই ওঠে না। কিন্তু তারপর ওরা আমাদের আর উত্তর দেয়নি।” তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “সমাজবিরোধীরা সমাজবিরোধী হয়। এর সঙ্গে কোনও ধর্মকে জড়ানো উচিত নয়। কেউ চোর হলে তার গোটা জাত-ই কি চোর?”তাঁর কথায়, ধর্মের ভিত্তিতে একজন আরেক জনকে সন্ত্রাসবাদী বলছে, এটা এ ভাবে বলা যায় না। যদি কোথাও কোনও ঘটনা ঘটে তা হলে কেন্দ্র আমাদের জানাক। আইন সবার জন্য এক। কেউ দোষ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ধর্মের নামে ভেদাভেদ করা ঠিক না”।