নিজস্ব সংবাদদাতা: সদ্য দু’দিনের কাশ্মীর সফর সেরে ফিরেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন তিনি। তারপরই কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। সেনা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। যা উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হবে। ১৫ অগস্টের আগে উপত্যকার নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অমরনাথ যাত্রা উপলক্ষে আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এ বার সারা দেশ থেকে আরও ১০ হাজার সেনা-জওয়ানকে মোতায়েন করার কথা জানালো কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।পুলওয়ামা হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর স্থলপথে সেনা জওয়ানদের পাঠানো হচ্ছে না।
১০০ কোম্পানি বাহিনীকেই নিয়ে যাওয়া হবে আকাশপথে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই সেনা জওয়ানদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা জওয়ানরা গোটা কাশ্মীরজুড়ে অভিযান চালাবে। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নির্দেশেই এই বিশাল বাহিনী পাঠানো হচ্ছে উপত্যকায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, মূলত পাক অনুপ্রবেশ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।কার্গিল দিবসের ২০ বছর উদযাপনের দিনই সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, পাক নাশকতার ইতি হয়নি এখনও। বরং, সীমান্তের ও-পারে যুদ্ধ-মনোভাব নিয়ে প্রতিদিনই ভারতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। কখনও সেনা ছাউনি, কখনও নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন গ্রামগুলিতে উড়ে এসে পড়ছে পাক গোলা। পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতার বিন্দুমাত্র চেষ্টা চালালে মেরে নাক ফাটিয়ে দেব।” ভারতে ফের বড়সড় নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান আশ্রিত জঙ্গি সংগঠনগুলি, এমন আভাস আগেই দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, উত্তর কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম রয়েছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরও বাহিনীর প্রয়োজন ছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এযারলিফট করে এই বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে কাশ্মীরে।