নিজস্ব সংবাদদাতা: অমরনাথ যাত্রা আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হল কেন? আগে তো কখনও এমন হয়নি। রাজ্যে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে কেন? একটা গুজব শোনা যাচ্ছে, সংবিধানের ৩৫এ এবং ৩৭০ ধারা নাকি তুলে দেওয়া হবে? এমন কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কাশ্মীরে বাড়তি ১০০ কোম্পানি আধা সেনা নিয়োগ করে। অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হয়। রাজ্যের সব পর্যটককে বলা হয়, দ্রুত ফিরে আসুন। কাশ্মীরে থাকবেন না। সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রীদের ওপর বড় ধরনের হামলা চালানোর ছক কষেছে। সেজন্যই এই সতর্কতা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা জানান, এই মুহূর্তে ৩৫-এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্র। যদিও, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল শেষ কথা নন, শেষ কথা বলবে কেন্দ্র। তাই সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছ থেকে বিবৃতির দাবি করলেন ওমর আবদ্দুলা।উল্লেখ্য, গত ১ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সুপ্রিমো তথা শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদ্দুলা। সঙ্গে ওমর আবদ্দুলা এবং অনন্তনাগের সাংসদ হাসনেইন মাসুদি। ওই দিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ৩৫-এ নিয়ে পদক্ষেপ করার কোনও চিন্তাভাবনা নেই সরকারের। এখন লক্ষ্য জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন করানো। এই মুহূর্তে যে শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, এই পরিস্থিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে কেন্দ্র বদ্ধপরিকর বলে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে একটি মহল থেকে শোনা যায়, যে আইনে বাইরের কেউ জম্মু-কাশ্মীরে জমি-বাড়ি কিনতে পারেন না, সংবিধানের সেই ৩৫-এ ধারা বাতিল করা হবে। যে ধারায় ওই রাজ্যকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে, সেই ৩৭০ ধারাও বাতিল হতে পারে। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বাস্তবে বাতিল করতে গেলে কাশ্মীর উপত্যকায় বড় ধরনের অশান্তি হতে পারে। তাই আগেভাগে বাড়তি আধা সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।যদিও এই বিষয়ে কোন পক্ষের কাছেই কোন সঠিক উত্তর নেই।