নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর তৃণমূলের রাশ পুরোপুরি নিজের হাতেই নিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো ভোটের অনেক আগেই বলতেন, মানুষ ভোট দেবে উন্নয়নের নীরিখে। তাই জয় তাদের নিশ্চিত। আর বাস্তবে হতোও তাই। কিন্তু ভোটবাক্সে দেখা গিযেছে উল্টো ছবি। তারপর থেকেই হারের কারণ খুঁজে বের করতে বিভিন্ন জেলার নেতাদের সাথে বৈঠক সারছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। জঙ্গলমহল কার্যত মুখ ফিরিয়েছে তৃণমূলের থেকে। কিন্তু এর পিছনে কোন অঙ্কই মেলাতে পারছেন না তৃণমূল নেতারা। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। বুধবার আদিবাসী বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে জঙ্গলমহলের একাধিক আদিবাসী বিধায়ক পরিষ্কার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিলেন, আপনি যা প্রকল্প নিয়েছেন, তার কিচ্ছু নিচু তলায় নামছে না। আর যা শুনে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধমক দিলেন আদিবাসী আধিকারিক সঞ্জয় থারেকে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার একাধিক তৃণমূলের আদিবাসী বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে এক-দুই-তিন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। চিকিৎসক সমস্যার কথা জানিয়েছেন অনেক বিধায়ক। তাঁদের বক্তব্য, জঙ্গলমহলে গ্রামীণ এবং ব্লক হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক সংকটের ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বহু মানুষকে।একই সঙ্গে কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক আধিকারিকদের গাফিলতির বিষয়টিও উঠে আসে এ দিনের বৈঠকে। বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতার জন্যই সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। এর পরই আদিবাসী আধিকারিক সঞ্জয় থারেকে মুখ্যমন্ত্রী ধমকের সুরে বলেন, “নিচুতলায় কাজ না হলে ব্যবস্থা নিন। দরকার হলে সাসপেন্ড করুন। কাজ না করলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”