নিজস্ব প্রতিনিধি— মহারাষ্ট্রে বানভাসি বৃষ্টিতে মৃত্যের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৮-এ পৌঁছেছে। এরই মধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরির তবরে ড্যাম ভেঙে বিপত্তি। ড্যাম ভেঙে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের। অন্তত ২০ জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। ড্যামের নীচে থাকা ৭টি গ্রাম ভেসে গিয়েছে। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে অন্তত ১২টি বাড়ি।পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। গত ১২ ঘণ্টায় শুধু মুম্বইতেই ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ যা গত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ৷ থানে, পালঘর, রায়গড়, নাসিক, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ ও মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। মুম্বই থেকে প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার দূরে এই ড্যাম ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই সেখানে গিয়ে পৌঁছন ন্যাশনাল ডিসাস্টার রেসপন্স টিমের সদস্যরা। শুরু হয় গ্রামের মানুষদের নিরাপদে বের করে নিয়ে আসার কাজ। এ ছাড়াও সরকারি অধিকর্তা, পুলিশ ও ভলান্টিয়াররাও ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন। সবাই মিলে হাত লাগান উদ্ধারকাজে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, লাগাতার বর্ষণের জেরে বাঁদের জলস্তর রাতারাতি বেড়ে যায়। ড্যাম থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যাওয়ায় পাশের ১২টি ঘর নিমেষে ভেসে যায়। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের আশঙ্কা এই বাড়ির লোকেরাই জলের তোড়ে নিখোঁজ হয়েছে। পাশাপাশি আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, যারা ভেসে গিয়েছেন তাদের খোঁজ মিলতে পারে ড্যামের নীচের দিকে। সেই মতো তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও এনডিআরএফ এর সদস্যরা। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকাতেও শুরু হয়েছে অভিযান।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির জেরে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি খোদ মুম্বইতে ৭৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও জমা জলের কারণে বুধবার ১৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে মুম্বই-বারাণসী মহানগরী এক্সপ্রেস, মুম্বই-পুনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, পুনে-সোলাপুর এক্সপ্রেস, পুনে-মুম্বই ডেকান এক্সপ্রেস উল্লেখযোগ্য। মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি অফিস, দফতরে ছুটির ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।