নিজস্ব প্রতিনিধি— আসন্ন লোকসভা ভোটে যাদবপুর এবং বাঁকুড়া থেকে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। রবিবার কলকাতায় এই ঘোষণা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি জানান, ‘যাদবপুরের বাম প্রার্থী লড়াই ও আন্দোলনে রয়েছেন তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেওয়া হবে না। বাঁকুড়ায় সিপিএমের সংসদীয় দলনেতার আসন হিসেবে দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল তাই এই দুই আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, যাদবপুরে লড়ছেন সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য, তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী এবং বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। অপরদিকে বাঁকুড়ায় সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অমিয় পাত্র। এ দিনই আবার বাঁকুড়ায় দলীয় কর্মী সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘আমাদের লড়াই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী ভোটকে একত্রিত করতে চাই।’
এদিকে, চাঁচলের সভায় উপচে পড়া ভিড় দেখে রবিবার কলকাতা ও মালদহে কংগ্রেস শিবিরে ছিল খুশির হাওয়া। চাঁচলের জনসভা চলার মধ্যেই রাহুল গান্ধী রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে দীপা দাশমুন্সি, আবু হাশেম খান চৌধুরী-র সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে রাহুলকে কথা বলতে দেখা যায়নি। রাহুল গান্ধী নিজে জট ছাড়িয়ে দেওয়ার পরেও রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ায় সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান প্রমুখ নেতার উপর কংগ্রেস সভাপতি অত্যন্ত বিরক্ত বলে প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের বক্তব্য। এই পরিস্থিতিতে রবিবার আচমকা যাদবপুর ও বাঁকুড়ায় প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, সোমেনের এই বার্তাকে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্যের ৪২টি আসনে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট একজোট করতে আমরা চাই। এই কারণে কংগ্রেসের হাতে থাকা দুই আসনে আমরা এখনও প্রার্থী ঘোষণা করিনি। বাঁকুড়া ও যাদবপুরে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সদর্থক দৃষ্টিতে দেখছি।’ সূর্যকান্তর কথায়, ‘আমরা এমন কোনও বার্তা দিতে চাই না যে যারা তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চান তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হোক। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হতেও পারে, নাও পারে। যে যার মতো করে লড়বেন।’