নিজস্ব প্রতিনিধি: তখন ভাটপাড়া উপনির্বাচনে অর্জুন সিং-এর ছেলে পবন সিং-এর কাছে হারা দিন পনেরো হয়েছে। ফেসবুক লাইভে এসে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেছিলেন, “আমি এখন একটা চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি।” বোঝাতে চেয়েছিলেন , অনেক রাস্তা খোলা তাঁর সামনে। এ বার সেই মদন মিত্রই নিজের বাড়িতে ‘রামকথা’র আয়োজন করলেন।নেমন্তন্ন পর্ব সারা হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই ভবানীপুরের বাড়িতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মদনবাবু। কীর্তনের পর থাকছে এলাহি প্রসাদের ব্যবস্থাও। তবে নিমন্ত্রিতদের তালিকায় হেভিওয়েট কারা থাকছেন, যে ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।কিন্তু এতদুর ফিক ছিল। ২০১৪ ভোটে মোদী ঝড়ের কাণ্ডারীকে মেন্টর করে নিয়ে এসেছে তৃণমূল। নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলের হাল ফেরাতে নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পিকে-র কথাও কান তুলতে রাজি নন মদন মিত্র। বরং সব বারণ অগ্রাহ্য করে আয়োজন করে ফেললেন ‘রামকথা’র! যা একদম ভবানীপুরের দোড়গোড়ায়।সূত্রের খবর, মমতাকে প্রশান্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজনীতির আলোচনায় ধর্মকে আনা যাবে না। বিজেপি এই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে। ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করবে। কিন্তু তৃণমূলের উচিত হবে উন্নয়নকে রাজনৈতিক বিতর্কের ইস্যু করে তোলা। বস্তুত সে কারণেই তৃণমূলের নেতারা এখন ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন না।কিন্তু সব নির্দেশকে পিছনে ফেলে মদন চললেন রামকথার পিছনেই। সংবাদমাধ্যমেকে রামকথা নিয়ে মদন বলেন, “আমি এটা তৃণমূলের নেতা হিসেবে করছি না। দেশের নাগরিক হিসেবে করছি। যে দেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে।” একই সঙ্গে বিজেপি-র নাম না করলেও, খোঁচা দিয়ে বলেন, “ওরা তো হিন্দুত্বের প্রচার করতে রামকে বিক্রি করেন। এটা তেমন নয়। আমি একজন হিন্দু। রোজ পুজো করি।”
