নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাতে বারবার নাম জড়িয়েছে বাংলার। কেন্দ্রের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে সবচেয়ে বেশী যিনি সরব হতেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারও সেই মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে ফের একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন তিনি। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার শর্ত লঙ্ঘন করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মেয়াদ ফুরোতে আর চার দিন বাকি। তার আগে শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশ মেনে সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী জগদীপ ধানকারকে বাংলার রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তা ঘোষণাও করে দেওয়া হয়।
এর পরই বিকেল নাগাদ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুটি ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ট্যুইটে তিনি লেখেন, “শ্রী জগদীপ ধানকারকে বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে স্বাগত জানাই। আমি সংবাদমাধ্যম থেকে এইমাত্র খবর পেলাম। ওনাকে আমাদের সুন্দর রাজ্যে স্বাগত জানাই।”এর প্রায় ১৮ মিনিট পর দ্বিতীয় টুইটটি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আবার লেখেন, “বাংলার নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ সমন্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে এইমাত্র কথা হল। আমি ওনাকে জানিয়েছি যে আমি ইতিমধ্যেই নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়েছি।”অতীতে এম কে নারায়ণনকে বাংলার রাজ্যপাল নিয়োগ করার সময়েও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মনমোহন সিংহ সরকারের নেতারা। তখন কিন্তু কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের বামেরা সমর্থক দল ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন টুইট করে বুঝিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নতুন রাজ্যপাল নিয়োগের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আগাম কোনও আলোচনা করেনি। তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন। অমিত শাহ তাঁকে ফোন করেছেন তার পর। ততক্ষণে নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানানোও হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেও হতে পারে কৌশলগত কারণেই দিদি কোনও কঠোর শব্দ প্রয়োগ করেননি। বরং দেখাতে চেয়েছেন, তাঁর দিক থেকে সৌজন্যের ত্রুটি হয়নি। তাই ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী’ তাঁকে ফোন করলে তিনি কথাও বলেছেন।