নিজস্ব প্রতিনিধি : বালাকোটে বিমানহানা এয়ার স্ট্রাইকে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা বলা আমাদের কাজ নয়, জবাব দিলেন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। বালাকোটে বিমানহানা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন বায়ুসেনার এয়ার চিফ মার্শাল।
গত মঙ্গলবার ভোর রাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হানা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তারপর থেকেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয় কম করে সাড়ে তিনশো জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে ওই বিমান হানায়। কিন্তু আরেকটা মঙ্গলবার আসার আগেই বায়ুসেনার এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া জানিয়ে দিলেন, বালাকোটে কতজন মারা গিয়েছে তা গুনতে পারেনি বায়ু সেনা। তাঁর কথায়, “আমরা শুধু টার্গেট করেছিলাম। এবং ওই টার্গেটে আঘাত হেনেছি। কিন্তু কতজন সেখানে মারা গিয়েছে তা বায়ুসেনা গুনার কাজ নয়।” তিনি এ-ও বলেন, এ ব্যাপারে যা বলার সরকার বলবে।
#WATCH Air Chief Marshal BS Dhanoa on Mig-21 Bison, says, "One is a planned operation in which you plan & carry out.But when an adversary does a strike on you, every available aircraft goes in, irrespective of which aircraft it is. All aircraft are capable of fighting the enemy" pic.twitter.com/B2mZQTLBRd
— ANI (@ANI) March 4, 2019
বায়ুসেনার হামলায় কত জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই প্রশ্নে ধানোয়ার জবাব, ‘‘আমরা মৃতদেহ গুণে দেখি না। শুধু দেখা হয়, আমরা যখন কোনও টার্গেটে আঘাত করার সিদ্ধান্ত নিই তখন সেখানে আঘাত করেই ছাড়ি। সেই দিক থেকে এই অভিযান সফল। আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে পেরেছি। তবে কত জনের মৃত্যু হয়েছে বা কত জন আহত হয়েছে, সে বিষয়ে সরকার তথ্য দিতে পারবে।’’ অর্থাৎ সংখ্যাটা স্পষ্ট হল না বায়ুসেনার বক্তব্যেও।
বালাকোটে বিমান হানায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। এর প্রধান কারণ বায়ুসেনা বা সরকার এনিয়ে স্পষ্ট করে এখনও পর্যন্ত কিছু বলেনি। এনিয়ে আজ বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির হিসেব বায়ুসেনা করে না। এটা করে সরকার। আমরা দেখি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পেরেছি কিনা।‘
বায়ুসেনা পাইলট অভিনন্দন বর্তমান সম্পর্কে ধানোয়া বলেন, ‘উইং কমান্ডার অভিনন্দনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার যে ধরেনর চিকিত্সার প্রয়োজন হবে তা দেওয়া হবে। তিনি ফিট হলে তাঁকে আবার বিমান ওড়াতে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বালাকোটে জইশ জঙ্গি শিবিরে বোমা বর্ষণে কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও বলেনি সরকার বা বায়ুসেনা। ফলে এনিয়ে সরকার বিরোধী শিবির থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিমান হানার সত্যতা বা আদৌ জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা হয়েছে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কখনও বলার চেষ্টা হচ্ছে জঙ্গলে বোমা ফেলে এসেছে বায়ুসেনা। সেইসব প্রশ্নেরই জোরাল ভাষায় মোকাবিলা করলেন বায়ুসেনা প্রধান।
বায়ু সেনার যুদ্ধবিমান ও প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের বিষয়ে ধানোয়া বলেন, ‘‘এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। সব সময়ই উন্নততর প্রযুক্তি গ্রহণ করা হয়।’’ যে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সেপ্টেম্বরেই বায়ুসেনা হাতে পাবে বলেও জানান ধানোয়া।