নিজস্ব প্রতিনিধি: ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যেবেলা নিজের বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়িতে একটি পুজোমণ্ডপে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে (৪০) গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাঁসখালি ব্লকের বগুলার ফুলবাড়ি এলাকায় বড় বাজেটের ওই সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন সত্যজিৎবাবু। অনুষ্ঠান চলাকালীনই তাঁর উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা।তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের তদন্তে নেমে এবার জেলা বিজেপি সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিআইডি। শুক্রবার নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকারকে ভবানীভবনে হাজিরা দিতে বলে নোটিস পাঠান তদন্তকারীরা। হাজিরার জন্য ১ সপ্তাহ সময় চান জগন্নাথ। জানা গেছে আজ সকালে তাঁকে ভবানীভবনে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে।
গোয়েন্দাদের দাবি, এই হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারিকে খুনের ঠিক আগে বেশ কয়েকবার জগন্নাথবাবু ফোন করেছিলেন। গোয়েন্দারা জানান, অভিজিতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ঘেঁটেই এই তথ্য হাতে এসেছে তাঁদের। তারপরেই জগন্নাথবাবুকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেয় সিআইডি। এই খুনের মামলায় অন্য় অভিযুক্তের সঙ্গে জগন্নাথবাবুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সিআইডি। বিধায়ক খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম সুজিত মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল, কালীপদ মণ্ডল, নির্মল ঘোষ ও অভিজিৎ পুন্ডারি। অভিজিৎই সে দিন বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বলে পুলিশের অভিযোগ।