নিজস্ব প্রতিনিধি : গত মঙ্গলবার ভোর রাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হানা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তারপর থেকেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয় কম করে সাড়ে তিনশো জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে ওই বিমান হানায়। কিন্তু বালাকোটে বিমান হামলায় টীক কতজন জঙ্গির নিহত হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিল বিরোধীরা। কেন্দ্র এবং বায়ুসেনার তরফে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
তবে, বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এল গোয়েন্দা মারফত। কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এনটিআরও) জানাচ্ছে হামলার সময় ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে ৩০০টি মোবাইলের টাওয়ার শনাক্ত করা গিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সূত্রে জঙ্গিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
মনে করা হচ্ছে, ওই শিবিরে কমপক্ষে ৩০০ জঙ্গি থাকার সম্ভবনা রয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হানার পরই সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়ায় কমপক্ষে ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়। এমনকি মাসুদ ঘনিষ্ঠ ৫ কম্যান্ডারেও মৃত্যু হয়। এর মধ্যে রয়েছে কন্দাহার বিমান অপহরণের অন্যতম চক্রী মাসুদের শ্যালকও। কিন্তু সরকার বা বায়ুসেনার তরফে এমন কোনও বিবৃতি আসেনি।
বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন এয়ার স্ট্রাইকের সত্যতা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করুক সরকার। এ দিন এর উত্তরে ঘুরিয়ে ধানোয়া বলেন, জঙ্গলে যদি বোমা ফেলে আসা হত, তা হলে পাকিস্তান এত চিত্কার করছে? যদিও কিছু ছবি প্রকাশ করে ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছিল, ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলা হয়েছিল।
কিন্তু আরেকটা মঙ্গলবার আসার আগেই বায়ুসেনার এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া জানিয়ে দিলেন, বালাকোটে কতজন মারা গিয়েছে তা গুনতে পারেনি বায়ু সেনা। তাঁর কথায়, “আমরা শুধু টার্গেট করেছিলাম। এবং ওই টার্গেটে আঘাত হেনেছি। কিন্তু কতজন সেখানে মারা গিয়েছে তা বায়ুসেনা গুনার কাজ নয়।” তিনি এ-ও বলেন, এ ব্যাপারে যা বলার সরকার বলবে।