নিজস্ব প্রতিনিধি— একসময় যে গুরু হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নেমে ছিলেন তিনি। আজ সেই গুরু অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধেই লড়তে দেখা যেতে পারে তাঁর শিষ্য তথা তৃণমূলের বহরমপুরের প্রার্থী অপূর্ব সরকারকে। যদিও বহরমপুরের মানুষজন তাঁকে অপূর্ব নামের থেকে ডেভিড নামেই বেশি চেনেন। তবে এবারের লড়াইটা তাঁর কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং তা সেটা তিনি নিজেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে কান্দি পৌরসভার কাউন্সিলর হন অপূর্ব। এরপর ২০০৬ সালে গুরু অধীর চৌধুরি তাঁকে কান্দির কংগ্রেস প্রার্থী অতীশ সিংহের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনের নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান। অপূর্ব সরকার কুড়ুল চিহ্নে ২,৬৩২ ভোটে জিতে বিধানসভায় পা দেন। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। একটা সময় দূরত্ব বাড়ে অধীর চৌধুরির সঙ্গে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই তিনি তৃণমূল কংগ্রসে যোগ দেন। এবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে লড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকারের গুরু অধীর চৌধুরি বহরমপুর থেকে সম্ভবত প্রার্থী হচ্ছেন। ধারে-ভারে অনেক এগিয়ে তিনি। ২০১৪ সালে অধীর লোকসভা নির্বাচনে ৩,৫৬,৫৬৭ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। রাজ্যে এটাই ছিল রেকর্ড জয়। ফলে অপূর্ব’র লড়াইটা যে যথেষ্ট কঠিন তা বলাই যায়। এবিষয়ে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “কংগ্রেস দলের যা কিছু উচ্ছিষ্ট, তা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পদ। তাই তৃণমূলকে মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের উচ্ছিষ্টদের নিয়ে লড়তে হয়।” অপরদিকে অপূর্ব সরকার বলেন, “অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে আমাকে যোগ্য মনে করায় মুখ্যমন্ত্রী আর শুভেন্দু অধিকারীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি মা মাটি মানুষের উন্নয়নে শমিল হতে পারব।”